দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সম্প্রতি জনসম্মুখে এসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উপর জুতা নিক্ষেপের পর এই প্রথম কোন প্রেসিডেন্টকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হলো।

জনসংযোগে গিয়ে এক ব্যক্তির হাতে থাপ্পড় খেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশটিতে। ম্যাক্রোঁকে চড় মারার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

এবার থাপ্পড় খাওয়ার সেই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, ‌‘গণতন্ত্রে ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ আছে, তবে নির্বুদ্ধিতার সাথে সহিংসতা যুক্ত হলে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। আমি বরাবরই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। অনেক সময়ই তারা ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেন।’

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আরও জানান, চলমান জনসংযোগ কর্মসূচিতে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না। মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতেও সব দলের আইনপ্রণেতারা থাপ্পড়ের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স বলেন, দেশের প্রধানের ওপর হামলার অর্থ হল গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। গণতন্ত্রের অর্থ হল বিক্ষোভ, বিতর্ক, আর আলোচনার মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান। মতভেদ থাকতে পারে। সেটা জানানোর বৈধ উপায়ও আছে। কোনোভাবেই মৌখিকভাবে হেনস্তা বা শারীরিক আঘাত গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশটির একটি বামপন্থী দলের আইনপ্রণেতা আদ্রিয়েন কোয়াটেনেন্স মনে করেন, যে হামলার শিকার হয়েছেন ম্যাক্রোঁ তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে যে কোনো সমস্যা আলোচনা আর ব্যালটের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। সহিংসতার মাধ্যমে নয়।

উল্লেখ্য, ড্রোম প্রদেশের ছোট শহরটির রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী ও স্কুল পরিদর্শনের পর অপেক্ষমান সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময়ে এগিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। হঠাৎই ঘটে অপ্রীতিকর ওই ঘটনা। দেহরক্ষীরা দ্রুত সামলে নিলেও এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।

ঘটনার পর থেকে এখনও আটককৃত হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি ফরাসি পুলিশ। এমনকি জানা যায়নি প্রেসিডেন্টকে চড় মারার কারণও।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১০ জুন, ২০২১)