দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইরানে ১৩তম পেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। যা চলার কথা ছিল বিকেল ৫টা ৩০ পর্যন্ত। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ায় সময় বাড়ানো হয়েছে আরও দুই ঘণ্টা। অর্থাৎ ভেটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। আর শনিবার দুপুরের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হবে। খবর আল জাজিরার।

এদিকে বর্তমান সরকারের প্রতি বিতৃষ্ণা, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বেশ কিছু যোগ্য প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছেন অনেক ভোটার। সে কারণে অনেকে ভোটকেন্দ্রেই যাচ্ছেন না। তারপরও এক শ্রেণির ভোটার চান বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তন হোক। সেই পরিবর্তনের আশায় তারা ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছেন। ভোট দিচ্ছেন।

এবারে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন ৪ জন প্রার্থী। এরা হলেন— ইরানের প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রায়িসি (৬০), সাবেক সাংবাদিক ও মধ্যপন্থী নেতা আবদুল নাসের হেমাতি (৬৪), ইরানের গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক প্রধান মহসীন রেজাই (৬৬) ও রক্ষণশীল ঘরনার চিকিৎসক নেতা আমির হোসেন ঘাজিজাদ্দে হাশেমি (৫০)।

এদের মধ্যে রায়িসি বেশ এগিয়ে আছেন। যদিও ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি হাসান রুহানির কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিলেন। ওই নির্বাচনে রায়িসি ৩৮ শতাংশ তথা ১ কোটি ৬০ লাখ ভোট পেয়েছিলেন। আর রুহানি পেয়েছিলেন ৫৭ শতাংশ তথা ২ কোটি ৩০ লাখ ভোট। এবার তিনি অন্য তিনজন থেকে বেশ এগিয়ে আছেন। তাকে ঘিরেই অনেক ইরানি নতুন আশার আলো দেখছেন। তাছাড়া রায়িসি দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খমিনি ও রক্ষণশীল রাজনীতিকদের সমর্থন পেয়েছেন।

তবে ভোটকেন্দ্রে যেহেতু কম ভোটার যাচ্ছেন তাতে করে শেষ পর্যন্ত চারজন প্রার্থীর কেউ-ই যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান তাহলে আবার নির্বাচন হবে। সেখানে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন লড়বেন। তাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ জুন, ২০২১)