দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের বর্তমান রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ ভাগই পোষাক খাত দখল করে আছে। তৈরি পোশাকখাত, এটা খুবই ঝুকিপূর্ণ। তাই রফতানি পণ্য হিসেবে প্লাস্টিক সেক্টরকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘সরকার দেশের রফতানি পণ্যসংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্লাস্টিক, চামড়া, কৃষি, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে রফতানিনীতি প্রণয়ন করেছে।’ 

 

 

 

বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার (১৯ জুন) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘১৫তম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ার-২০২১’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় অনলাইনে চার দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেক্টরগুলোকে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল, প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ টিপু মুনশি বলেন, ‘এ প্রকল্পে স্থাপিত টেকনোলজি সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেয়অর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প। দ্রুত এই শিল্পের প্রসার ঘটছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। বিভিন্ন উন্নতদেশে প্রতিযোগিতা করে বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে।’ ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ-এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’ বলেন মন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বাণিজ্যবান্ধব বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি—দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও শক্তভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার, দক্ষ জনশক্তি দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ার (আইপিএফ) অনলাইন এক্সপো আগামী ৫-৮ জুলাই চলবে। এক্সপোতে ১৯টি দেশের প্রায় ৪৮৩টি প্লাস্টিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, সুদান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মিসর, ইথিওপিয়া, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভিয়েতনাম। দর্শনার্থীরা অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেলায় প্রদর্শিত সব পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং।

দ্য রিপোর্ট/এএস/১৯জুন,২০২১