দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার একজন তাজউদ্দীন আহমদের ৯৬তম জন্মদিন আজ। ১৯২৫ সালের আজকের এই দিনে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই নেতা। তার পিতা মৌলভী মো. ইয়াসিন খান এবং মাতা মেহেরুননেসা খান। ৪ ভাই, ৬ বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন তাজউদ্দীন।

১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বি.এ.(সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৬৪ তে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে কারাগারে থাকা অবস্থায় এল.এল.বি. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।

তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৪৩ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হন। ১৯৪৪ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার নির্দেশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার কাজ শুরু করেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদ হন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। অস্থায়ী সরকার ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত কলকাতা থেকে কার্য পরিচালনা করে। তাজউদ্দীন আহমদ দৃঢ়তা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এতে নেতৃত্ব দেন।

১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসলে তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বন্দি করা হয় তাজউদ্দীন আহমদকে। এরপর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে অপর ৩ জাতীয় নেতার সঙ্গে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন দেশ গড়ার এই অন্যতম স্থপতি বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমদ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩জুলাই, ২০২১)