দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কঠোর বিধিনিষেধ ক্রমেই শিথিল হয়ে পড়ছে। ষষ্ঠ দিনে রাজধানীতে বেড়েছে ব্যক্তিগত যান চলাচল।

আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল। চেকপোস্টগুলোতেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গাড়ির কাগজপত্র ও উপযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে দেয়া হচ্ছে মামলা।

ব্যাংকসহ জরুরি সেবাখাতে নিয়োজিত অনেক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় চাকরি বাঁচাতে কর্মস্থলে ছুটছেন অনেকেই। কিন্তু, অনেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। হেঁটে কিংবা রিকশায় অফিসে যাচ্ছেন তারা।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।

বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮জুলাই, ২০২১)