দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ে জয়-পরাজয় না হলে যেকোন ইভেন্টের ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। হাইজাম্পেও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু সোমবার কাতারের মুতাজ ঈসা বারশিম আর ইতালির জিয়ানমারকো তামবেরি কেউ জিততে পারেননি। টাইব্রেকারের প্রস্তাব নাকচ করে তারা স্বর্ণ ভাগাভাগি করে নেন। যা স্থান পেয়েছে ইতিহাসের পাতায়। অলিম্পিকের ১১৩ বছরের ইতিহাসে যে এমন কিছু দেখেনি কেউ।

সোমবার তিনজন ২.৩৭ মিটার উঁচুতে লাফ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বর্ণ জিতলেন কাতারের মুতাজ ঈসা বারশিম ও ইতালির জিয়ানমারকো তামবেরিই জিতলেন সোনা। অন্যদিওকবেলারুশের মাকসিম নেদাসেকাউ।

ঈসা বারশিম ও তামবেরি ২.৩৭ মিটার উঁচুতে লাফ দিলেও আটকে গেছেন ২.৩৯ মিটার লাফ দিতে গিয়ে আটকে যান তিনবার করে। দুজনকে কোনোভাবেই আলাদা করা যাচ্ছিল না। দুজনের কেউই ফাউল করেননি। ফলে স্বর্ণের দাবি নিয়ে আসেন দুজনই। এমন অবস্থায় ট্র্যাকে এসে অলিম্পিকের এক কর্মকর্তা তাদের প্রস্তাব দেন ফুটবলে টাইব্রেকের মতো ‘জাম্প অফ’-এর, ‘তোমরা চাইলে আমরা জাম্প অফের ব্যবস্থা করতে পারি।’ অন্তত একটা কিছুর ভিত্তিতে হলেও দুজনকে আলাদা করা হয়। আর এখানেই সবার মন জিতে নিয়েছেন ঈসা বারশিম।

তাৎক্ষণিকভাবে সেই কর্মকর্তাকে ঈসা বারশিম জিজ্ঞেস করেন, ‘আমরা দুজন কি দুটি স্বর্ণ পদক পেতে পারি না?’ ‘হ্যাঁ, এটাও সম্ভব’, সেই কর্মকর্তার মুখ থেকে এই জবাব শোনার পরই উল্লাসে মেতে ওঠেন ঈসা বারশিম ও তামবেরি। দুজন কোলাকুলি করে সাফল্য উদ্‌যাপন করা শুরু করেন। আর এর মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যায়, ১১৩ বছর পর অলিম্পিকে সোনা জয়ের গৌরব ভাগাভাগি হচ্ছে।

এমন ঘটনা ঢুকে গেছে অলিম্পিক ইতিহাসেরই সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী ঘটনার ছোট্ট তালিকাটায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাহবা পাচ্ছে বেশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩আগস্ট, ২০২১)