দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আমেরিকায় নিযুক্ত তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রদেশের গভর্নরকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। গত ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিকে বরখাস্ত এবং জাতীয় সংসদ এক মাসের জন্য স্থগিত করে প্রেসিডেন্ট সাঈদ তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তার মাঝে নতুন করে এসব পদক্ষেপ নিলেন তিনি।

মঙ্গলবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমেরিকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নিজামুদ্দিন লাখালকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয় নি। সাফাক্স প্রদেশের গভর্নরকেও বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছে তিউনিশিয়ার গণমাধ্যম। এর আগে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ আইন ও বিচারমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন।

স্থানীয় জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট সাঈদের এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রতি লোকজনের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ঘটনাকে সামরিক ক্যু’ বলে কেউ কেউ অভিহিত করছেন তবে প্রেসিডেন্ট সাঈদ তা নাকচ করে দিয়েছেন।

২০১১ সালে যে আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল তার প্রথম ধাক্কায় তিউনিশিয়ার তৎকালীন স্বৈরশাসক জয়নুল আবেদিন বেন আলী উৎখাত হন এবং সৌদি আরবে পালিয়ে যান। তারপর থেকে তিউনিশিয়ায় জনগণের শাসন চালু রয়েছে। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন- প্রেসিডেন্টের সাঈদের এই কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে সেখানে একনায়কতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা চালু হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪আগস্ট, ২০২১)