দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র জার্মানি বহু বছরধরেই বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের শতভাগ ফ্রিতে পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে আসছে। তার ই ধারাবাহিকতায় জার্মানি এখন বাংলাদেশসহ বিভিন্নদেশ থেকে প্রশিক্ষিত কর্মী যেমন নার্স, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ইঙ্গিনিয়ার, এগ্রিকালচারাল স্টাফ, আইটি স্পেশালিষ্ট, বৃদ্ধাশ্রমের সেবক সেবিকা সহ ১৫০ টিরও অধিক ক্যাটাগরিতে নিচ্ছে। এর আলোকে পহেলা মার্চ ২০২০ থেকে জার্মান এম্বাসি ঢাকা ভিসার আবেদন গ্রহন করা শুরু করেছিল, কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারনের তাদের এই কার্যক্রম শিথিল ছিল। পরবর্তীতে ২০২১ সালের শুরু থেকে তারা নিয়মিত এই ভিসা কার্যক্রম চালু রেখেছে।

কিছু কিছু সেক্টরে আবেদনকারীর নুন্যতম যোগ্যতা এইচএসসি/ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট থাকলেই হবে এবং এর সাথে জার্মান ভাষার বেসিক লেভেল এ২/বি১ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। এ ছাড়াও আবেদন কারির বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

জার্মান ভাষায় এই প্রোগ্রামটির নাম হচ্ছে “Ausbildung/আওসবিল্ডুং” যেটি ২ থেলে ৩ বছরের হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামটিতে একজন সফল আবেদনকারি যেসকল সুবিধা পাবে, তার মধ্যে অন্যতম ২-৩ বছরের প্রফেশনাল ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট, ফ্রিতে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থাসহ প্রোগ্রাম চলাকালিন মাসিক বেতন প্রায় ১২০০ থেকে ২২০০ ইউরো পর্যন্ত পেয়ে থাকবেন। এবং এই প্রোগ্রাম শেষকরার পর ফুল টাইম চাকরিতে তাদের বেতন প্রায় ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ ইউরো হবে। পরবর্তীতে তিন বছর জার্মানিতে থাকার পর নাগরিকত্যের জন্য আবেদনের করার সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশী তরুণ জনশক্তির এই সুযোগ গ্রহনের নেপত্তে, দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান জিআরসি সার্ভিসেস লিমিটেড ২০১৩ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তারেই ধারাবাহিকতায় তারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট, যেখান থেকে আবেদনকারীরা সহজেই এবং স্বল্প সময়ে জার্মান ভাষার আবেদনের নির্ধারিত লেভেলগুলো সম্পন্য করতে পারবেন। এই বিষয়ে জিআরসি সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ এম হক টিটু জানান উনারা ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি আবেদনকারীদের চাকরির কন্ট্রাক্ট পাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন এবং জিআরসির মাধ্যমে সফল আবেদনকারীদের জার্মানিতে পোছানুর প্রথমদিন থেকেই বেতন পেয়ে থাকেন।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪আগস্ট, ২০২১)