দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের গ্ল‌্যামার কন্যা পরীমনি। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন এই নায়িকা মাদক মামলায় কারাবন্দি হওয়ার পর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিষাদের ছায় নেমে আসে। একাধিকবার এই অঙ্গনের মানুষ পরীমনির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ২৬ দিন পর পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষজন। অনেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সুলতানা পরীমনির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ পরীমনির জামিন মঞ্জুর। সঠিক পথে এগিয়ে চলে নিজের জীবনকে আরো সুন্দর করবে। আমাদের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করবে তোমার প্রতিভাময় সু-অভিনয় দিয়ে, আমি এই আশীর্বাদ করি। পরিমনির পাশে সবসময় ছিলাম, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো। পরীকে নিয়ে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসগুলো এখনো ফেসবুক প্রোফাইলে আছে, সবগুলো পজিটিভ আমি ওর পক্ষেই লিখেছি। কেউ বিভ্রান্তমূলক মন্তব‌্য করার আগে স্ট্যাটাসগুলো দেখে আসবেন আশা করি।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা আবু সাঈদ শুরু থেকেই পরীমনির ন্যায় বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। ফেসবুকে এই নির্মাতা লিখেন, ‘জামিন পেলো পরীমনি। হাইকোর্টের নির্দেশনা জজ কোর্টে জামিন পাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে।’ চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখ শামীম লিখেন, ‘শিল্পী আমরা তৈরী করি, শিল্পীরা ভুল করতেই পারে, ভুল করলে শাস্তি হবে এটাই স্বাভাবিক, তবু শিল্পীদের পক্ষে আইনি লড়াই করা আমাদের কর্তব্য, তাই জামিন না দিলে, মুক্তির আন্দোলন। এইমাত্র পাওয়া: জামিন মঞ্জুর হওয়ায় আমি খুশী।’

চিত্রনায়ক রোশান পরীর চূড়ান্ত মুক্তির দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘পরী অনেক ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়েছে। ওরা থাকলে হইতো মেয়েটির জীবন অন্যরকম হতো, আজকের এই দিনগুলোর মতো হতো না। ছোটখাটো ভুলের বাইরেও তো তার অনেক ভালো গুণ রয়েছে। জনপ্রিয় নায়িকা হওয়া ছাড়াও বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে বারংবার। আর শাস্তি না দিয়ে তাকে সংশোধনের সুযোগ দিলে তার জীবনটা আরো সুন্দর হতে পারে! পরীর ব‌্যক্তিগত লাইফ নিয়ে তেমন কিছু না জানলেও এটা জানি যে, তার শত বছর বয়েসী নানা তার জীবনে সবথেকে বড় আপনজন। যাকে সে তার বেঁচে থাকার বড় অবলম্বন মনে করে।’

পরীমনি ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত। তা জানিয়ে রোশান লিখেন, ‘পরী ভার্টিগো নামে একটি রোগে আক্রান্ত, যে নাম আমি আগে কখনো শুনিনি। তার সঙ্গে আমার সর্বশেষ সিনেমা ‘মুখোশ’-এ কাজের সময় বারংবার দেখেছি সাডেনলি অসুস্থ হয়ে যায় পরী, যা আমাকে অনেক বেশি ব্যথিত করেছে। দুটি ছবিতে তাকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি। সেই সুবাদে যতটা দেখেছি পরী একজন মেধাবী অভিনেত্রী, মিশুক, পরোপকারী। চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে আমি তার মুক্তি চাই, সিনেমার স্বার্থে তাকে আমাদের আবারো প্রয়োজন। আমাদের অভিনেত্রী পরী আবারো আগের মতো কাজ করুক। যথেষ্ট হয়েছে আর কেউ তাকে নিয়ে বাজে কিছু বলবেন না। দিন শেষে এটাই সত্যি যে, সে একজন এতিম মেয়ে। আল্লাহ্র কাছে কে কোন ওসিলায় ক্ষমা পাবে সে আল্লাহই নির্ধারণ করবেন।’

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১ আগস্ট, ২০২১)