দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে এ পর্যন্ত প্রয়োগ করা হয়েছে করোনার সাড়ে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন। করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে আনতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনতে চায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে দেশব্যাপি ইপিআই কার্যক্রমের আওতায় নিলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ভ্যাক্সিনেট করা সহজ হবে।

করোনা সংক্রমণের হার যখন কমতির দিকে তখনই দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ে বেশী সংখ্যক মানুষকে ভ্যাক্সিনেট করতে মরিয়া স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিংহ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে হাতে।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। চার কোটির কিছু বেশি নিবন্ধনের বিপরীতে এ পর্যন্ত টিকা প্রয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ডোজ। ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন কার্যক্রমের বিকল্প কি হবে তা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশব্যাপি টিকা প্রয়োগের ব্যাপক ক্যম্পেইন পরিচালনার পাশাপাশি পুনরায় শুরু করতে হবে গণটিকা কার্যক্রম।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলছেন, একদম যারা বয়স্ক গ্রামে থাকেন জানতে পারছেন না তাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করাতে পারেন।

অন্যদিকে কোভিড-১৯ জাতীয় কমিটির সদস্য ডা. এম এ আজিজ বলছেন, গণটিকা কার্যক্রম চালু না করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইপিআই সেবা কার্যক্রম চালু করলে বেশী মানুষকে আনা যাবে টিকাও আওতায়।

যদিও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে আগামী সপ্তাহ থেকে ক্যাম্পেইন শুরু করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। তবে তা আটকে আছে কেন্দ্র নির্বাচন ও বিকল্প উপায় নির্ধারণে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১)