দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেছেন, রাজধানীবাসীর সচেতনতা, সিটি কর্পোরেশনের পদক্ষেপ, ঋতুর পরিবর্তন ও সরকারের সম্মিলিত কার্যক্রমে আগামী এক মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

তিনি আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে 'ইইউ সাপোর্ট টু হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন টু দি পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। সকাল-বিকেল নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস করার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। আমি আশা করি, মাসখানের মধ্যেই এডিস মশার প্রাদুর্ভাব একটি সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।’
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগ একটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ। শুধু বাংলাদেশই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে না, এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় যে সকল দেশ সফলতা পেয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

তাজুল বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে প্রতি বছর দশ কোটি থেকে ৪০ কোটি পর্যন্ত মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় এবং সাত লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। ২০১৯ সালে আমাদের দেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারন করলেও ২০২০ সালে এটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম।

গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে লকডাউন এবং ঈদের ছুটি। এ সময় অনেকেই বাসা বাড়ি ছেড়ে নিজ এলাকায় যাওয়ায় এবং নির্মাণ শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় এডিস মশার প্রভাব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মে-জুন থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার প্রকোপ বেশি থাকে। কারণ এসময় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী এবং বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি মারিজিও চিয়ান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র-বাসস

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১)