দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আরব আমিরাতে প্রবাসীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর ইস্যুতে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা দুই-এক দিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, শ্রমিকরা যেন দ্রুত ওই দেশে যেতে পারেন। তাদেরও রিকয়্যারম্যান্ট আছে। দুবাই এক্সপো শুরু হয়েছে, ওদের প্রচুর লোক দরকার। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের কাজটি দেরি হয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, আজকে-কালকের মধ্যে সমাধান হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর প্রথম দিন থেকেই সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিট করে একটা জায়গা নির্ধারণ করে। ওই জায়গায়ও আমাদের ল্যাব স্থাপন সম্পন্ন হয়ে গেছে।

ইউএই সরকারের একটি শর্ত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, যে সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্বাচিত করেছে, তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরটা (এসওপি) অবহিত করতে হবে, তারপর তারা অনুমোদন দেবে। এই তথ্যটা আরব আমিরাতে আমাদের রাষ্ট্রদূত পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন। আমরা দু-সপ্তাহ আগে চিঠি পাঠিয়েও দিয়েছি। আমরা পারসিউ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে গত পরশুদিন আমাদের ল্যাব স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থাপন করা ছয়টি ল্যাবের একটিরও অনুমোদন দেয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুমোদন কাউকেই দেয়নি আরব-আমিরাত। ছয়টি এসওপি আমরা পাঠিয়েছিলাম। অনুমোদন এখনো আসেনি।

তিনি বলেন, তাদের প্রথম অনুমোদন দেওয়া ল্যাবের মাধ্যমে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কিছু যাত্রী পাঠিয়েছিলাম। গতকালও একটা ফ্লাইট গেছে। আজকেও তারা একটা ফ্লাইট পাঠাতে চেয়েছিল। আমি তাদের প্রেসার ক্রিয়েট করার জন্য এই ফ্লাইটটি ক্যান্সেল করেছি। বলেছি, আমাদের ছয়টির অনুমোদন না আসলে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে আর কোনো যাত্রী পাঠাব না। প্রেসার ক্রিয়েট করছি, যাতে তারা দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, আজকে দুপুরে ওখানে একটি মিটিং হওয়ার কথা। আমাদের পাঠানো এসওপি তাদের ন্যাশনাল কমিটি ফর ক্রাইসিস অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অ্যাপ্রুভ করবে। ছয়টি এসওপি-ই তারা যাচাই-বাছাই করেছে। আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। এটা একটা ফর্মালিটি মাত্র। সেই ফর্মালিটি ত্বরান্বিত করার জন্য তাদের উপর চাপও প্রয়োগ করছি।

একটি প্রতিষ্ঠান পারলে অন্য ছয়টি প্রতিষ্ঠান কেন পারছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমি এমিরেটস এয়ারলাইন্সের এরিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ্রুভাল নিয়ে টেস্ট করছে, বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোরও অনুমোদন সেভাবে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১)