দ্য ‍রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীর চাপ সামাল দিতে খুলনার অন্য চারটি হাসপাতালের সঙ্গে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালেও চালু করা হয় করোনা ইউনিট। ১০টি আইসিইউসহ ৪৫ শয্যার ওই ইউনিটে গত কয়েক দিন ধরে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী ভর্তি হননি। তাই আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটটি। সেখানে এখন চিকিৎসা নিতে পারবেন সাধারণ রোগীরা।

শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবু নাসের হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার (১০ অক্টোবর) থেকে সেখানে করোনা রোগী ভর্তি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ইউনিটটি জীবাণুমুক্ত করে কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে সাধারণ রোগীদের সেবা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।

সূত্র অনুযায়ী, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়। কিন্তু চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে রোগীর চাপ বাড়ায় ২০০ শয্যার ওই হাসপাতাল দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। এরপর খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল ও পরে আবু নাসের হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করা হয়।

জানা গেছে, গত ২৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠিয়ে ২৫০ শয্যা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব বিভাগীয় প্রধানকে নিয়ে বৈঠক করে ৪৫ শয্যার করোনা ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ৩ জুলাই আবু নাসের হাসপাতালে ৪৫ শয্যার করোনা ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই হাসপাতালে থাকা ১০টি আইসিইউ শয্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয় করোনা ইউনিটে।

পুরো জুলাই মাস ও আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সব হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সব শয্যা রোগীতে পূর্ণ ছিল। এরপর থেকে কমতে শুরু করে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সেখানে মাত্র সাতজন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে দুজন ছিলেন আইসিইউতে। ১৯ সেপ্টেম্বর রোগী ভর্তি ছিলেন চারজন। ওই দিনের পর করোনা রোগীদের জন্য ১০টি আইসিইউ শয্যা রেখে বাকি ৩৫টি সাধারণ শয্যা করোনা ইউনিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২২ সেপ্টেম্বর সেখানে চারজন ভর্তি ছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর একজন ভর্তি থাকলেও ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে রোগীশূন্য ছিল ইউনিটটি।

শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, বেশ কিছুদিন রোগীশূন্য থাকার পর ইউনিটটি আবার সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আগে সাধারণ ৩৫টি শয্যা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আর এখন আইসিইউ শয্যাগুলো ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। শয্যাগুলো জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। সেটি হয়ে গেলেই সাধারণ রোগীদের সেখানে ভর্তি করা হবে।

জানা গেছে, খুলনা সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিট বাদ দেওয়া হয়েছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে। সেখানে এখন সাধারণ রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। আবু নাসের ও সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে ২০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ অক্টোবর, ২০২১)