দ্য ‍রিপোর্ট প্রতিবেদক: সোমবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম জানান, বাসায়ই ছিলেন, হঠাৎ পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। দ্রুত শান্তিনগর ইসলামী ব‌্যাংক হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আনুমানিক বেলা ৩টার দিকে মারা গেছেন তিনি।

ড. ইনামুল হকের মৃতদেহ কোয়ান্টামে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গোসল শেষ করে নিয়ে যাওয়া হবে বেইলী রোডে। এরপর শিল্পকলা একাডেমিতে নেওয়া হবে। তবে কোথায় কখন দাফন করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নাসিম।

বরেণ্য নাট্যজন লাকী ইনামের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ড. ইনামুল হক। এ সংসারে হৃদি হক ও প্রৈতি হক নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

নাট্যকার হিসেবে ড. ইনামুল হক'র পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। তার প্রথম লেখা নাটকের নাম 'অনেকদিনের একদিন'। আবদুল্লাহ আল মামুন নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন টেলিভিশনের জন্য। টেলিভিশনের জন্য ৬০টি নাটক লিখেছিলেন তিনি।

তার লেখা আলোচিত টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে 'সেইসব দিনগুলি' (মুক্তিযুদ্ধের নাটক), 'নির্জন সৈকতে' ও 'কে বা আপন কে বা পর'।

মঞ্চের জন্য তার লেখা প্রথম নাটকের নাম 'বিবাহ উৎসব'। এটি লিখেছিলেন উদীচীর জন্যে। তার নিজ দল নাগরিক নাট্যাঙ্গনের জন্য প্রথম লেখা নাটকের নাম 'গৃহবাসী'। ১৯৮৩ সালে লেখা হয় নাটকটি। ঢাকার মঞ্চে বেশ আলোচিত নাটক এটি।

ড. ইনামুল হক অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৬৮ সালে। তার প্রথম অভিনীত টেলিভিশন নাটক ছিল 'মুখরা রমণী বশীকরণ'। এটি প্রযোজনা করেছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ অক্টোবর, ২০২১)