দ্য ‍রিপোর্ট প্রতিবেদক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে সংঘর্ষের জের ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এ সময় যতন কুমার সাহা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালী পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে তখনো তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছিলেন।

স্থানীয়রা বলছেন, জুমার নামাজের পর 'তৌহিদী জনতার' ব্যানারে সেখানে মিছিল শুরু হয় এবং মিছিলটি সেখানকার কলেজ রোডে একটি পূজামণ্ডপে হামলা করে। তবে ওই মণ্ডপের প্রতিমা সকালেই বিসর্জন হয়ে গেছে বলে তখন সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ছিলো না।

পরে মিছিলকারীরা ওই হিন্দুদের কিছু দোকানপাট ও বাড়ি ঘরে হামলা করতে শুরু করলে পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।

হামলার সময় যতন কুমার সাহা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার শাহ ইমরান নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জের ছয়ানি বাজার এলাকার একটি মণ্ডপে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দেয়।

এছাড়া এখলাসপুরে আরও একটি মন্দিরের ভেতরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার।

চট্টগ্রামে কয়েকটি মন্দিরে হামলার চেষ্টা, প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ

চট্টগ্রামে কয়েকটি মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাশ গুপ্ত।

তিনি বলেন জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম নগরীতে মিছিল বের হয় এবং মিছিলের একটা অংশ কয়েকটি মণ্ডপ এলাকায় আক্রমণ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ অক্টোবর, ২০২১)