দ্য ‍রিপোর্ট ডেস্ক: শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) চতুর্দশ আসরের ফাইনালে কলকাতার বিপক্ষে ২৭ রানের বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই।

তবে চেন্নাইয়ের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে কলকাতার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আয়ার আর শুভমিন গিল প্রথম ১০ দশ ওভার ক্রিজে অপরাজিত থেকে ৮৮ রান সংগ্রহ করে ধোনিদের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়ছিল। তবে তারপরই যেন সব শেষের শুরু।

শার্দুল ঠাকুরের বলে সজোরে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন আয়ার। এরপর শুভমন গিল, নীতিশ রানা, সুনীল নারিন দিনেশ কার্তিকরাও একে একে সাজঘরে ফিরে গেছেন। এদিন বাজে বোলিং করে ব্যাট হাতেও হতাশ করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কোনো রান না করে তিনিও ফিরে গেছেন।

এদিকে, আসরজুড়ে ছন্দহীন কলকাতা অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও দলের হাল ধরতে ব্যর্থ। ৮ বলে ৪ রান করে চাহারের হাতে ধরা পড়েন নাইট অধিনায়ক।

তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে শেষ দিকে শিবাম মাভি আর লকি ফার্গুসন মিলে কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজেই আসেনি।

এর আগে কলকাতার বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ পায় মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা করেছিল ১৯২ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংস উদ্বোধন করেন রুতুরাজ গাইকওয়াদ ও ফাফ ডু প্লেসি। এ দুজন চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। প্রথম ৬ ওভারেই ৫০ রান আসে তাদের জুটি থেকে। তবে ম্যাচের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বড়সড় সুযোগ হাতছাড়া করেন কেকেআর উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিক।

সাকিব আল হাসানের বলে ফাফ ডু প্লেসি ক্রিজে থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করেন দীনেশ। তখনই ভাষ্যকাররা বলছিলেন, ‘বড়সড় ভুল কার্তিকের। ফাফকে স্টাম্পিং করার সুযোগ হারালেন। বড়সড় মাশুল গুনতে হতে পারে।'

ম্যাচের বয়স যত বাড়ছিল ততই ব্যাটিংয়ে ধার বাড়ছিল ডু প্লেসি ও গাইকওয়াদের। কিন্তু নবম ওভারে সুনীল নারিন বল হাতে তুলে নেন। প্রথম বলেই তিনি রুতুরাজকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। তখন চেন্নাইয়ের দলীয় রান ৬১।

গাইকওয়াদ আউট হলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলের সংগ্রহকে সামনে নিয়ে যেতে থাকেন প্লেসি। তাকে কিছু সময়ের জন্য সঙ্গ দেন রবিন উথাপ্পা। সাবেক কলকাতার এই ব্যাটার ১৫ বলে দুশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৩১ রান করে ফেরেন নারিনের শিকার হয়ে। এরপর রানের চাকা কিছুটা ধীর গতির হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পুষিয়ে নেন ডু প্লেসি ও মঈন আলী।

শেষ দিকে দুজনেই খেলতে থাকেন মারমুখী ভঙ্গিতে। ডু প্লেসি ৫৯ বলে করেন ৮৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৭টি ছয় ও ৩টি চারের মার। মঈন আলীর ব্যাট থেকে ১৮৫ স্ট্রাইকরেটে আসে ৩৭ রান।

কলকাতার বোলারদের মধ্যে এক সুনীল নারিনই যা সফল। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। বাকিদের মধ্যে মাভি নেন এক উইকেট। লকি ফার্গুসন ছিলেন সবচেয়ে বেশি খরুচে। ৪ ওভারে ৫৬ রান দেন তিনি। বরুন খরচ করেছেন ৩৮ রান। সাকিব ৩ ওভারে দেন ৩৩ রান ১৯২ রান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ অক্টোবর, ২০২১)