দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২০১৫ সালে মাদারীপুরের রাজৈরে ৫ বছরের শিশু আদুরী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। আসামিদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় অন্য এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজৈর পশ্চিম স্বরমঙ্গলের রাজিব হাওলাদার, ইমন গাছী ও পিরোজপুরের শফিকুল ইসলাম মোল্লা। ইমন গাছী ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন। খালাস দেয়া হয়েছে সেলিম হাওলাদার নামে এক আসামিকে।

২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় ৫ বছরের শিশু আদুরী। এ ঘটনায় রাজৈর থানায় হত্যা মামলা করে আদুরীর বাবা। পরে মসজিদের ইমাম গ্রেফতার হলে তার দেয়া তথ্যমতে মসজিদের পাশ থেকে আদুরী আক্তারের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের ভাই শাহিন জানান, আদুরী অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সকালে তার সহপাঠীর সঙ্গে আরবি শেখার জন্য সেনদিয়া বাজার সংলগ্ন মসজিদের ইমামের কাছে যায়। বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রী কম আসায় ইমাম সাহেব তাদের না পড়িয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে এবং কৌশলে আদুরীকে আটকে রাখেন। তারপর দুপুর গড়িয়ে গেলেও আদুরী বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। মাইকিং করেও জানানো হয়। পরে একটি নম্বর থেকে বারবার কল করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় রাজৈর থানা পুলিশের এসআই সমীর হোড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মসজিদের ইমাম সফিকুলকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় রবিবার সকালেই আদুরীকে হত্যা করে তার মরদেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে মসজিদের পাশে মাটির নিচে রাখে। ঘাতক ইমাম পিরোজপুর সদর উপজেলার বৈয়ামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯ নভেম্বর, ২০২১)