দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে দেশে অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যার প্রভাব নারী ও কিশোরীদের ওপর পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এসডিপি) এ বক্তব্য দেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তরিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

বক্তারা বলেন, করোনায় দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষ জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কিশোরী ও নারীদের ওপর, যেহেতু বাংলাদেশের মোট নারী শ্রমশক্তির প্রায় ৯১ দশমিক ৮ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছে।

গত বছর ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা যায়, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীদের কাজের সুযোগ ৬৬ এবং ২৪ শতাংশ কমেছে।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য সব সংস্থা কাজ করছে। সরকার বেশ কিছু শিল্পক্ষেত্র তৈরি করছে, যেখানে নারীরাও কাজ করবে। এত বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারাদেশে এক কোটি ৮০ লাখেরও বেশি নারী কর্মরত। কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব ঘটলে এদের বিপর্যয়ের কথাও ভাবতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০২ ডিসেম্বর, ২০২১)