দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাত্তরের ২৫ মার্চসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণহত্যার ওপর গবেষণা ও অধ্যয়নের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘গণহত্যা অধ্যয়ন কেন্দ্র’। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২ বছর পার হতে চললেও এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণা বা অধ্যয়ন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি এ কেন্দ্রটি।

এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কক্ষ সংকট ও প্রশাসনিক কাজের দীর্ঘসূত্রিতাকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান জানান, ২০১২ সালের মার্চ মাসে ‘গণহত্যা অধ্যায়ন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময়ে পরিচালক হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি এখনও দায়িত্বপ্রাপ্ত।

জানতে চাইলে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘দুই বছর আগে কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও এখন পর্যন্ত গবেষণা বা গণহত্যা বিষয়ে কোনো কোর্স শুরু করা সম্ভব হয়নি।’

কেন্দ্রটির জন্য শুরুতে কোনো কক্ষও পাওয়া যায়নি। গত ৬ মাস আগে টিএসসি সংলগ্ন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান উচ্চতর গবেষণা কেন্দ্র ভবনে একটি কক্ষ বরাদ্দ পেয়েছি। এখন সেটিকে কেন্দ্রের উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে।’

প্রতিষ্ঠার ২ বছরেও গবেষণা বা অন্যান্য কর্মকাণ্ড শুরু করা কেন সম্ভব হয়নি- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন মিটিংয়ে সব কিছু পাস করে নিয়ে কাজ এগুতে হয়। সে ক্ষেত্রে কিছুটা দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রশাসনিক কাজের ধীর গতি রয়েছে। তবে আগামী জুলাই মাসে প্রাথমিকভাবে গ্র্যাজুয়েটদের নিয়ে ৩ মাসের একটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট কোর্স শুরুর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এরপর গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘গণহত্যা অধ্যয়ন কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কক্ষ সংকট রয়েছে। এ সবের মধ্য দিয়েই কাজকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এনসি/এনডিএস/সা/মার্চ ২৫, ২০১৪)