দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমান কটন এন্ড ফেব্রাস লিমিটেডের প্রত্যেক পরিচালককে তিন কোটি টাকা করে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন( বিএসইসি)। বৃহষ্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কমিশনের ৮০৭ তম সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে কোম্পানির চার উদ্যোক্তা পরিচালকের প্রত্যেককে তিন কোটি টাকা করে মোট ১২ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া ৭৩ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের জন্য জমাকৃত জামানত ( Lien) বাতিল করে কমিশনকে ৭দিনের মধ্যে  কমিশনের কাছে জানাতে বলা হয়েছে।

 

কোম্পানির নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান আতা খান এন্ড কোম্পানিকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রদানের অভিযোগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।

আমান কটন এন্ড ফেব্রাস লিমিটেডের পক্ষ থেকে যেসব আইনভঙ্গ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে,২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব ( আইপিও ) অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএসিইসির পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিলো তা ভঙ্গ করে কোম্পানি।

বিনিয়োগ সহযোগী হিসেবে যুক্ততার ক্ষেত্রে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো আইন অনুসরণ করা হয়নি।

আইপিও অনুমোদনের জন্য কমিশনের কাছে দাখিল করা কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে সঠিক চিত্র বা তথ্য দেওয়া হয়নি।

বিশেষ অডিটের জন্য ২০২০ সালের ২১ জুন বিএসইসির পক্ষ থেকে কোম্পানির কাছে পাঠানো অডিট প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা না করার অভিযোগ আনা হয়।

২০০৯ সালের ১ জুন কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আরেকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলেও প্রমাণ পেয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট কোম্পানিটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর প্রতিবছরই ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০২১ আর্থিক বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষনা করে। কোম্পানির চারজন উদ্যোক্তা পরিচালক রয়েছেন। এরা হলেন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম,পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ও পরিচালক তরিকুল ইসলাম। পারিবারিক ব্যবসায়িক সুত্রেই তারা এই কোম্পানি পরিচালক। অনুমোদিত পরিচালক রয়েছেন রবিউল হক। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বোর্ডে রয়েছেন এ কে এম আক্তারুজ্জামান।

উদ্যেক্তা পরিচালকদের হাতে শেয়ার রয়েছে ৭২ .২০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৮.২২ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৯.৫০ শতাংশ। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ার । সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে আয় দেখানো হয়েছে দশমিক ২৭ টাকা বা ২৭ পয়সা। এই কম্পানির প্রতিটি শেয়ার আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়সা কমে ১৩ জানুয়ারি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩২.৭০ টাকা দরে।

গতকাল এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও কোম্পানি সচিব শরিফুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হয়। দু’জনই ফোন ধরা থেকে বিরত থাকেন।

দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/১৩-০১-২২