দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার। সংবাদ সম্মেলনে শিমুকে হত্যায় তার স্বামী নোবেল ও লাশ গুমের ঘটনায় নোবেলের বন্ধু ফরহাদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ওই ঘটনার বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসপি মারুফ বলেন, এই ঘটনার পর আমরা শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যার কারণ জানতে চাইলে জেলার পুলিশ সুপার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকায় তাকে (শিমু) হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদেরকে তথ্য দিয়েছেন নোবেল। আর হত্যার পর লাশ গুমে সে বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতা নেয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা বস্তা দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সেটি অভিনেত্রী শিমুর মরদেহ বলে শনাক্ত হয়। বর্তমানে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) রাখা হয়েছে। সেখানেই শিমুর স্বামী ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেয় র‌্যাব।

নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন গত রাতে জানিয়েছেন, তার ভগ্নিপতি নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। সে মাদকাসক্ত।

কেরানীগঞ্জের ওসি মো. আবু সালাম মিয়া আরও জানান, লাশ ওই বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বস্তার ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে ১৯৯৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শিমুর। পরের বছর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের প্রায় ২৫টি সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে দেখা যায় তাকে। শাকিব খান, অমিত হাসানসহ কয়েকজন তারকার সঙ্গেও কাজ করেছেন শিমু।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮ জানুয়ারি, ২০২২)