মুহম্মদ আকবর, দ্য রিপোর্ট : কেটে গেছে স্বাধীনতার ৪৩ বছর। একাত্তরের উত্তাল সেই সময়ে আবু সিদ্দিক আহমেদ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মিলিটারি এস্টেটস অফিসে এলডিসি পদে কর্মরত ছিলেন।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চ চাকরি মায়া ত্যাগ করে চলে যান ভারতে। চাকরিতে অনুপস্থিত থাকা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তাকে এ মাসেই তাকে চাকরিচ্যুৎ করা হয়।

ঢাকা থেকে পালিয়ে আবু সিদ্দিক ভারতের মহেশখলা ইয়ুথ ক্যাম্পে যান। তৎকালীন ক্যাম্প আহ্বায়ক মো. সেকান্দর নূরীর (স্বাধীনতা উত্তর আততায়ীর হাতে নিহত) সঙ্গে দেখা করে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা জানান। ক্যাম্প আহ্বায়ক তাকে অফিস পরিচালনার দায়িত্ব দেন। যুদ্ধ চলাকালে পুরো সময় তিনি ক্যাম্পের দায়িত্ব পালন করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় নিয়োজিত রাখেন নিজেকে। তবে যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি তার।

গত বিএনপি সরকারের শেষ সময়ে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এরপর আসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। মুক্তিযোদ্ধা সেন্ট্রাল কমান্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্বীকৃতি চেয়ে ২০০৭ সালের শেষের দিকে আবেদন করেন। তবুও মেলেনি কোনো সাড়া।

আবারও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। আশা করছেন, জীবনের অন্তিমে এসে এ সরকার তার স্বীকৃতি দিবেন। কোনো অনুকম্পা নয়, মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় নিয়েই এ মাটির বুকে ঘুমুতে চান। তবে খেতাবটুকু পেলে তার আর কোনো দুঃখ থাকবে না।

( দ্য রিপোর্ট/এমএ/একে/এইচএসএম/মার্চ ২৬, ২০১৪)