দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য সৌভাগ্য ও ক্ষমার রাত পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাতভর মগ্ন ছিলেন ইবাদত বন্দেগিতে।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন।

এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই রাজধানীর মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা দলে দলে নফল ইবাদত। মসজিদগুলোতে হয়েছে বয়ান, শুনেছেন মুসল্লিরা। চলে যাওয়া স্বজনদের রূহের মাগফেরাত কামণায় করেছেন দোয়া। কবরস্থানগুলোতেও ভিড় করেছেন অনেকেই।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমে বাদ মাগরিব থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বাদ মাগরিব থেকে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়।

এশার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমি মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি সবাইকে হালালভাবে উপার্জন ও জীবন জীবিকার মাধ্যমে পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ, মুসল্লিদের পরিবার পরিজনের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

পরে কোরআন তেলাওয়াত ও কলরব সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর মনমুগ্ধকর নাত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় দফা ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়।

শবে বরাতের তাৎপর্য ও আমাদের করণীয় নিয়ে ওয়াজ করেন যাত্রাবাড়ি মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি নিয়ামতুল্লাহ ফরিদী। এসময় ধর্মমন্ত্রী মোহাম্মদ ফরিদুল হক খানসহ ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ মার্চ, ২০২২)