দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ মঙ্গলবারও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ (মঙ্গলবার) ডিএসইতে ৭৭৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২৪৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা কম।  গতকাল  ডিএসইতে  ১ হাজার ২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৪০৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪০৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৩৬৩ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ২৪৫টির এবং আগেরদিনের দাম ধরে রেখেছে ৪৫ টি কোম্পানি।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৩৩ পয়েন্ট কমেছে। এদিন সিএসইতে ২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদের সাথে । তিনি বলেন মার্কেট এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো। ঈদের আগে কিছু শেয়ার ওভারভ্যালুড হয়েছিলো। সেগুলো আসল দামে ফিরছে। এটি মার্কেটের জন্য ভালো। বর্তমানে শেয়াররের দাম কমে যাওয়াকে গ্লোবাল সমস্যা বলে তিনি উল্লেখ করেন। ডলার ভ্যালু স্ট্রং হওয়াতে মার্কেটে শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে এবং প্রায় সকল দেশেরই একই অবস্থা বলে মন্তব্যা করেন অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বিনিয়োগকারীদের প্যানিক সেল না করার জন্য পরামর্শ দেন। লম্বা সময় ধরে কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেলে কিছুটা কমতেই পারে। এতে শেয়ার হাতছাড়া না করার অনুরোধ করেন। মার্কেট একটু নিম্নমুখী হলেই প্যানিক সেল বাড়ে। এতে করে এক শ্রেণীর কারসাজি চক্র মার্কেট থেকে কমদামে শেয়ার কিনে মার্কেট স্টাবিলিটি নস্ট করে দেয়। এসব ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হতে পরামর্শ দেন অধ্যাপক আবু আহমেদ।

(দ্য রিপোর্ট/ মাহা / ১৭ মে, ২০২২)