দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একজন সংসদ সদস্য হিসেবে কারাগারে হাজী সেলিমের যে ডিভিশন পাওয়ার কথা রয়েছে তাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোনো আপত্তি নেই।

হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আমরা এটার বিরোধিতা করেছি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

ডিভিশন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি আসামি একজন সংসদ সদস্য। কারাগারে তার যে ডিভিশন পাওয়ার কথা রয়েছে, সেটির বিষয়ে আবেদন করেছে আসামিপক্ষ। ডিভিশন পাওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না।

দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল থাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে আত্মসমর্পণ করেন হাজী সেলিম। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

রোববার (২২ মে) শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে যে কোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

আবেদনে হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রাণ নাথ উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাকশক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাকশক্তি না থাকায় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যে কোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণ-পূর্বক তার জামিন আবেদন করছি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২২ মে, ২০২২)