দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।

আজ (মঙ্গলবার) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়াম রুমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা বলেন, ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োকারীদের শেয়ার বিক্রি করতেন। ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ থেকে আমরা কখনো কোনো এসএমএস পেতাম না এবং কোনো মেইলও পেতাম না। ফার্স্টলিড কর্তৃপক্ষ এই সমস্যাকে সাময়িক সমস্যা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিতেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে আমরা অন্যান্য হাউজে বিও একাউন্ট করে শেয়ার ট্রান্সফার করতে চাইলে তা পারিনি। পরবর্তীসময় জানতে পারেন বিনিয়োগকারীরা, বিএসইসি থেকে ফাস্টলিড সিকিউরিটিজের লেনদেন ২০২১ থেকে বন্ধ করে রেখেছে। হাউজ বন্ধ থাকলেও ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার লেনদেন করতেন তারা।

গত ২০ জানুয়ারি আমরা সিআরও সিএসই বরাবর শেয়ার হস্থান্তরের জন্য আবেদন করি। সিডিবিএল জানায় একাউন্টগুলোতে কোন শেয়ার নাই। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বরাবর আভিযোগ করেন তারা।। আমাদের শেয়ার অন্য হাউজে ট্রান্সফার করার জন্য। দীঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ আমাদের কোন শেয়ার হস্তান্তর করে নাই।

বিনিয়োগকারীরা আরও বলেন, ‘আমাদের ৩০ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছি । আমরা খুব আর্থিক কষ্টে আছি গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বিএসইসি এবং সিএসইতে যোগাযোগ করার পরেও কেউ আমাদের কোনো সদুত্তর দেয়নি।’

দ্য রিপোর্ট/ মাহা / ২৪ মে, ২০২২)