দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: টেলিকম অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাসসহ চারজনের বিরুদ্ধেকরা দুটি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জেমস ও মাইলস।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে দুই বাদী জেমস ও হামিন আহমেদ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

শুনানির সময় মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ আদালতকে বলেন, ভুল বোঝাবুঝির জন্য মামলা দায়ের করা হয়। এখন আর মামলা পরিচালনা করতে চাচ্ছি না। শুনানির সময় মামলার চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. মতিউর রহমান মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদীরা স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন বাংলালিংকের প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর।

গত বছরের ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ পৃথক দুটি মামলা করেন। তবে মামলার আসামি বাংলালিংকের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে যান। তিনি আর দেশে ফিরবেন না এমনটা জানতে পারে বাদীপক্ষ। এ জন্য বাদীপক্ষ মামলা থেকে তাকে বাদ দেন।

মামলাটি দুটির অভিযোগে বলা হয়, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুইটি আসামিরা তাদের বাংলালিংক অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। অন্যদিকে জেমসও তার গাওয়া ‘দুখিনি দুঃখ করোনা’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’, ও যার যার ধর্ম গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৬ মে, ২০২২)