দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনে দুর্দান্ত মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের দুর্দশার পর বল হাতে জ্বলে উঠেছে ঠিকই। ক্যারিবীয়দের অল-আউট করা গেছে ২৬৫ রানে। তাতে স্বাগতিকরা লিড পেল ১৬২ রান।

অ্যান্টিগায় প্রথম দিনের খেলা শেষে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বেশ জোর গলায় বলছিলেন, লিড বড় হবার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্রুত অল-আউট করার।

সেটি হয়েছে ঠিকই তবে পরিকল্পিত বোলিংয়ের সুফলটা পেতে একটু দেরি হয়ে গেল একের পর এক ক্যাচ মিসে। অনেক সহজ ক্যাচ ছেড়ে নিজেদের পথ নিজেরাই কঠিন করে ফেলেছিলেন ফিল্ডাররা।

সেখানে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে ৮ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করে ক্যারিবীয়রা।

প্রথম দিনে ১টি করে উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন। মোস্তাফিজ ফিরিয়েছিলেন ২৪ রানে জন ক্যাম্পবেলকে। ১১ রান করা রেয়মন রেইফারকে ফেরান এবাদত হোসেন।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে তিনটি ক্যাচ ছাড়ে বাংলাদেশ। ৫৮তম ওভারের চতুর্থ বলে খালেদের বলে ক্যাচ তোলেন এনক্রুমাহ বোনার। প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হাসান শান্ত যেন দেখেনইনি বল যে তার পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে। ৬৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাক-ফুটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয় নিতে পারেননি ক্যাচ। উইন্ডিজ অধিনায়ক জীবন পান ৬৩ রানে।

এছাড়া এবাদত হোসেনের বল বোনারের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেট রক্ষকের হাতে গেলেও আবেদন করেননি উইকেটের। বলা যায় প্রথম সেশনটা হতাশার। তবে ৬৩তম ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন বোনার। ফেরার আগে খেলেন ৯৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর দলীয় ১৯৭ রানের সময় ব্যক্তিগত ৯৪ রানের মাথায় ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ফেরান পেসার খালেদ আহমেদ। এরপর মেহেদী মিরাজের বলে দিশেহারা হয়ে পড়ে স্বাগতিক ব্যাটাররা। ১০১তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ৭ রানের মাথায় কাইল মেয়ার্সকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এক ওভার পরে ১০৩তম ওভারের তৃতীয় বলে আবারও আঘাত মিরাজের। এবার ১ রানে ফেরান জশুয়া দ্য সিলভাকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে চলে উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে।

তবে একপাশ আগলে রাখেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু বাকি ব্যাটাররা সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাকে। শূন্য রানে আলজারি জোসেফকে ফেরান মিরাজ। এরপর কেমার রোচকে খালি হাতে ফেরান এবাদত হোসেন। শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাকউডকে ৬৩ রানে ফেরান খালেদ আহমেদ। এরপর আর গুদাকেশ মতি ২১ বলে করেন ২৩ রান। শেষ ব্যাটার জ্যাডেন সিলসকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৭ জুন, ২০২২)