দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের ভারি বৃষ্টিপাত কমায় সিলেট ও রংপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে। তবে মধ্যাঞ্চলের ছয় জেলায় বন্যার অবনতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত দেশের ১৩ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। ১১ নদীর পানির বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার রাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) এসব তথ্য জানায়।

এফএফডব্লিউসির নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে যমুনা ও পদ্মার পানি বাড়ছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুশিয়ারা ও তিতাস ছাড়া সব প্রধান নদনদীর পানি কমছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে ও উজানের বিভিন্ন অংশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা কম। তাই এ সময়কালে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদনদীগুলোর (তিতাস ছাড়া) পানি কমতে পারে। তবে পদ্মার পানি বাড়ছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি কমতে পারে জানিয়ে কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এ সময়ে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে জানিয়ে আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে; সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। একই সময়ে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পাউবোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চারটি, যমুনার পানি পাঁচটি, সুরমার তিনটি এবং কুশিয়ারা নদীর দুটি স্থানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৩জুন, ২০২২)