দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা।

সোমবার (২৭ জুন) বেলা ১১ টায় বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে বগুড়া জেলা বিড়ি শ্রমিক ও কর্মচারি ঐক্য ইউনিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিড়ি শ্রমিক নেতা সোহেল রানা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি), সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য লুৎফর রহমান প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু তৈরি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অভিভাবকের আসনে সমাসীন হয়েছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর দালালরা দেশের বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসে নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের উপর কোন প্রকার শুল্করোপ করা হয়নি। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটি বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের নীল নকশা। বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশই নিম্ন স্তরের। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। তাই নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করতে হবে।’

বক্তরা আরো বলেন, “বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদিকৃত ও প্রযুক্তি নির্ভর হলেও সিগারেটে অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একই সাথে সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেখে অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৭ জুন, ২০২২)