দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সামনের সংকট মোকাবিলার জন্য সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের অভিঘাতে বাংলাদেশ যাতে জর্জরিত না হয়, সে জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকলে কোনও সংকটই মোকাবিলা করা কঠিন নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সংকট মোকাবিলায় দেশবাসীকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সকলেই মিতব্যয়ী এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই।’

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তোলায় সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কখনও ৫ বিলিয়নের উপরে ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসনের কারণেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী নিউজ ইউক যখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে, তখন আমাদের দেশের একদল হতাশাবাদী ব্যর্থ রাজনীতিক হায় হায় রব তোলে। তাদের মনে রাখা উচিৎ- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না, সেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক উন্নত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

গত এক যুগেরও বেশি সময় সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'পাহাড় সমান প্রতিবন্ধকতা ও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।'

দেশে শুধু মেগাপ্রকল্পই বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নয়, আজ দেশের শতকরা ২৯ ভাগ পরিবারের মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কোনও না কোনও ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সফল রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্ব সভায় প্রশংসিত।’