দ্যরিপোর্ট প্রতিবেদক:বিকাশ পরিবনের বাসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়ে এক শিক্ষার্থীর ফেইসবুক পোস্ট দেখে পুলিশ এর চালককে ধরতে তৎপর হয়। ওই বাস চালক মো. মাহবুবুর রহমানকে বুধবার রাতে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেছেন, চালকের সহকারীকেও তারা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছেন।

এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টায় থাকা ওই শিক্ষার্থীর বাসা ঢাকার আজিমপুর এলাকায়। ২৪ জুলাই রাতে ধানমণ্ডি থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বাসের ভেতর নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর তিনি ফেইসবুকে ঘটনাটি প্রকাশ করেন।

কুদরত-ই-খুদা বলেন, বিষয়টি নজরে এলে পুলিশ ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে লালবাগ থানায় মেয়েটির বাবা একটি মামলা করেন এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাস চালক মাহবুবুরকে গ্রেপ্তার করে।

“ওই ছাত্রী সেদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে ধানমণ্ডি থেকে আজিমপুরে যাওয়ার জন্য বিকাশ পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে উঠে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।

“এক পর্যায়ে তিনি অনুভব করেন, তার শরীরে কেউ হাত দিয়েছে। এরপর তাকিয়ে দেখেন, বাসে কোনো যাত্রী নেই এবং তার পাশের সিটে বাস চালকের সহকারী।”

পুলিশ কর্মকর্তা কুদরত-ই-খুদা বলেন, বিপদ আঁচ করতে পেরে মেয়েটি হেলপারকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে সিট থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। বাসের হেলপার তখন তার মুখ চেপে ধরে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

“ধস্তধস্তির এক পর্যায়ে হেলপারকে সরিয়ে ওই তরুণী চালককে চিৎকার করে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু চালক বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন।“

এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসের গতি কমে গেলে ওই ছাত্রী লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে যান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তদন্তে নেমে পুলিশ ক্লোজড সার্কিট (সিসি ক্যামেরা) ক্যামেরার ভিডিও দেখে বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করে এবং চালক মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

পাশাপাশি ওই বাসটি পুলিশ জব্দ করেছে বলে জানান অতিরিক্ত উপ কমিশনার কুদরত-ই-খুদা।