দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৩ আগস্ট) গণভবনে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ এর নির্বাচনের আগে চক্রান্ত করেছে। ২০১৮’র নির্বাচনের আগে করেছে। আবার এখন নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’

পঁচাত্তরের পনোরো আগস্টের নৃশংস সেই ঘটনার পর দেশের পেছনের দিকে যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, যখন সরকারে আসলাম; সাফল্য এনে দিলাম, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিলাম- এটা অনেকেই পছন্দ করবে না। কাজেই তারা তৎপর আছে সারাক্ষণই। আমি জানি তাদের তৎপরতা অনেক বেশি। তাদের খবরও আমি রাখি। আমার তো অচেনা কেউ নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করেই যাচ্ছে।

এসময় তিনি বলেন, দুর্যোগ চতুর্দিক দিয়ে আসবে এবং আসছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপরদিকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ। তাই এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী ফেলে রাখা যাবে না। উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে নিজের ব্যবস্থা নিজেকেই করে রাখতে হবে।

করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনকে (নিষেধাজ্ঞা) কেন্দ্র করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃচ্ছ্রতা সাধনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ফলেই প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে। আমি জানি না কারা লাভবান হচ্ছে এই যুদ্ধে। লাভবান হচ্ছে অস্ত্র প্রস্তুত ও সরবরাহকারীরা। আর মরছে সাধারণ মানুষ। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে সাধারণের আজকে কী মানবেতর জীবন। সেটাই সবথেকে দুঃখজনক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে চক্রান্ত করে কী লাভ হবে জানি না। তবে দেশের মানুষের তো ক্ষতিই হবে। কারণ আমরা তো এক একটা জিনিস টার্গেট করে কাজ করছি। যেমন বলেছি একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতা যে পদক্ষেপ শুরু করেছিলেন নোয়াখালী থেকে। আমি সেই দায়িত্বটা পালন করে যাচ্ছি। এখন আরও ৫৬ হাজার ঘর তৈরি হচ্ছে (বিনামূল্যে বিতরণের জন্য)। তাহলে এখানে আর কোনও ভূমিহীন থাকবে না।