দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুর্নীতির টাকায় গড়া সম্পদ অনুসন্ধানের সময়ই জব্দ করতে পারবে দুদক। এসব অবৈধ সম্পদ বিক্রি করে সেই অর্থ বিদেশে পাচার বন্ধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ কাজে দুদকের দুই কমিশনার ও চেয়ারম্যানে অনুমোদন নিতে হবে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদেরকে।

 

দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে রাজধানীর বসুন্ধরায় নিজের নামে একটি প্লট ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় আবজাল।

একই বছর ২৭ জুন আবজালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা হলেও, প্লটটির হিসেব মামলায় আনা যায়নি। পরে জানা যায় এই টাকা পাচার করা হয়েছে মালয়েশিয়ায়।

আবজালের এই ঘটনার অনুসরণ করে পরবর্তীতে আরো অনেক দুর্নীতিবাজ অনুসন্ধানকালে নিজেদের জমি বা বাড়ি বিক্রি করে টাকা পাচার করেছে। এভাবে অনেকে দুদকের দায়মুক্তি সনদও পেয়েছে।

এই কূটকৌশল ঠেকাতে অনুসন্ধানকালে দুর্নীতিবাজদের সম্পদ এখন থেকে জব্দ করা যাবে।

সম্পদ জব্দ করতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দুদকের উচ্চপর্যায়ে পেশ করবেন। দুই কমিশনার ও চেয়ারম্যান একমত হলেই অনুমোদন হবে জব্দের আবেদন।

ইতোমধ্যে অনুসন্ধানকালে ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে দুদক। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সহ সম্পদ জব্দের আবেদন আসলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।