দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সারা দেশের মানুষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। আর কোনো ব্যারিকেড দিয়ে রাখতে পারবেন না। আজ যারা ফালতু কথা বলছে, তারা হত্যা করার পরেও নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জনগণের আক্রোশ থেকে কেউ রেহাই পাবেন না।’

 

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন রিজভী। বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রিজভী এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, চলমান পরিস্থিতি দেশে আর চলতে দেওয়া যাবে না। গুলি করবেন? সেই গুলিতে শরীর থেকে রক্ত ঝরবে। সেই রক্ত যে মাটিতে পড়বে সেই মাটি আরো তেজস্বী হয়। সেই মাটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আরও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। দুই শাওন, নারায়ণগঞ্জের এবং মুন্সীগঞ্জের আব্দুর রহিম, নুরে আলমের যে রক্ত ঝরেছে নিশ্চয়ই এটা বৃথা যাওয়ার জন্য নয়।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে চূড়ান্ত আঘাতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী আপনি বন্দুক দিয়ে জনগণের শক্তিকে দমাতে পারবেন না। সেই রাইফেল জনগণের শক্তি কোন দিকে ঘুরিয়ে দেবে সেটা চিন্তা করে কথা বলবেন। এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।

নির্বাচন কমিশনার সরকার প্রধানের চাকর মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এরা নির্বাচন কী করবে। প্রধানমন্ত্রী যদি দিনকে রাত বলে এরা তাই বলবে। তাই এই সমস্ত চাকর বাকরদের দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে সবার গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনের গ্যারান্টি গণতন্ত্রের মা মুক্তি।

রিজভী বলেন, যিনি তার জীবনের সব সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের হয়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন এবং এই সরকারের নির্যাতন সহ্য করছেন, এখনো বন্দি হয়ে আছেন, তারপরও তিনি মাথা নত করেননি। এই মাতার আদর্শ অনুসারী আমরা।

সমাবেশে আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ২০দলীয় জোটের শরীক এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।