দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শনিবার ডন অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ২০ আগস্ট ইসলামাবাদে ইমরান খান তার দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইসলামের সমাবেশে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরীরর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। ওই ইস্যুতেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এদিকে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ। সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ব্যাখ্যায় ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, এটি পুরোপুরি আইনি প্রক্রিয়া।

পুলিশ বলেছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ বাতিল করার পর মামলাটি দায়রা আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছিল এবং পিটিআই প্রধান সেখান থেকে জামিন নেননি।

ইসলামাবাদ পুলিশের ভাষ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বিষয়ে আদালতের সর্বশেষ শুনানিতেও উপস্থিত ছিলেন না এবং তার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সেই সময়ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

ইমরান খান গত ২০ আগস্টের ভাষণে ইসলামাবাদ পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং উপ-মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, আমরা আপনাদের ছাড় দেব না।

গত ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খানের ঘনিষ্ট সহকারী ও পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহবাজ গিল।

শাহবাজের মুক্তির দাবিতে ব্যাপকভাবে সরব হন পিটিআই চেয়ারম্যান। পরে দলীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যদি অবিলম্বে শাহবাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে ইসলামাবাদ পুলিশের আইজি, ডিআইজি ও যে আদালতে শাহবাজের বিচার চলছে, তার বিচারক জেবা চৌধরীকে ‘দেখে নেবেন’ তিনি।

এই বক্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পরের দিন ২২ আগস্ট ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন পিটিআইয়ের দুই আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী ও বাবর আওয়ান। দফায় দফায় পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জামিনও পান। মামলার সর্বশেষ শুনানিতে তাকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেয় ইসলামাবাদের আদালত। সেই জামিনের মেয়াদ শেষের দিনেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর এলো।