দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিদেশি কূটনীতিকদের দিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু গণমাধ্যম মন্তব্য করতে বাধ্য করছে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নিজের ঘরের বিষয় অন্যের কাছে বলাটাও লজ্জার।

 

তিনি বলেন, কিছু রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে চান না।

কিন্তু সাংবাদিকদের কারণে তারা মন্তব্য করতে বাধ্য হন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের আরও যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেটে দুইদিন ব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, তাকে কিছু কিছু রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তারা এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না। কিছু কিছু সাংবাদিক তাদের প্রশ্ন করে উত্তর দিতে বাধ্য করেছেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্য কোনো দেশের মানুষ নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে জানতে চান না। এখন কিন্তু আমরা কলোনিয়াল দেশ না, আমরা কলোনি না। সুতরাং তাদেরকে সেটা মনে রাখতে হবে। তারা তাদের রীতি অনুযায়ী, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত যে রীতি, সেটা মেনে চলবেন।

পুলিশের চোখে স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা স্রেফ দুর্ঘটনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা। এরকম সব দেশেই ঘটে।

এছাড়া সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশে লোকসমাগম নিয়ে বিএনপি নিজেরাই হতাশ বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের ইচ্ছে ছিল আন্দোলন শুরু করার, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দেখেই তাকে আবারও নির্বাচিত করবে। কেন না দেশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন।

এদিন সকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দু্ল মোমেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুব্রত ভৌমিক, অতিরিক্ত ডিআইজি ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদ, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন এবং বিশিষ্ট লোকসংগীত গবেষক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইমরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তৌসিফ আহমদ ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ।