দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভূমিকম্পে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

এজেন্সি জানিয়েছে, ওসমানিয়ে প্রদেশে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সিরিয়ার সঙ্গে থাকা তুরস্কের সীমান্তের কাছে অবস্থিত সানলিউরফাতে আরও ১০ জন মারা গেছে।

এদিকে সিরিয়ার অ্যাটমেডের একজন চিকিৎসক বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরেই অন্তত ১১ জন মারা গেছেন।

ডা. মুহিব কাদ্দুর আরও জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন আরও অনেকে।

‘আমরা আশঙ্কা করছি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক’ তিনি এপিকে বলেছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর সিরিয়া, সাইপ্রাস ও লেবানন জুড়ে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।

স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, রিপোর্ট আসছে যে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকে থাকতে পারে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক টুইটারে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। ’

‘আশা করি খুব দ্রুত কম ক্ষতিসহ একসঙ্গে এই বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠব’ তিনি লিখেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন, অন্তত ছয়টি আফটারশক হয়েছে। ঝুঁকির কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে বাসিন্দাদের প্রবেশ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনা। একইসঙ্গে আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা। ’

এদিকে তুরস্কের মধ্যাঞ্চলেও শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, প্রথম কম্পনের প্রায় ১১ মিনিট পর আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৯.৯ কিলোমিটার গভীরতার ওই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৭।

সূত্র- আল জাজিরা, বিবিসি