দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পিএসএলের কোয়ালিফায়ারের প্রথম খেলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মুলতান সুলতানস। পাওয়ার প্লে-তে অবশ্য টিকে থেকে লড়াই চালিয়ে যান রিজওয়ান এবং ওসমান খান। পাওয়ার প্লে-তে কোন উইকেট না হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৬ রান। 

ম্যাচের ৮ম ওভারে এসে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় মুলতান সুলতানস। ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি করা ওসমান খান বিদায় নেন ২৮ বলে ২৯ রান করে। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা রাইলি রুশোও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ বলে তিনি সংগ্রহ করেন ১৩ রান।

মোহাম্মদ রিজওয়ান যখন বিদায় নেন, তখন ১৩ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৯০ রান। এরপর কাইরন পোলার্ড ব্যাটিংয়ে নেমে চালিয়ে যান আক্রমনাত্মক ব্যাটিং। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আরো একটি অর্ধশতক তুলে নেন পোলার্ড। তার ইনিংস এর ওপর ভর করে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় মুলতান সুলতান্স। নির্ধারিত ওভার শেষে পাঁচ উইকেটে ১৬০ রান সংগ্রহ করে তারা। পোলার্ডের ব্যাটে থেকে আসে ৩৪ বলে ৫৭ রান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নামা লাহোর কালান্দার্সের শিবিরে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শেলডন কট্রেল। ওপেনার তাহিরকে ফেরান আট রানে আর আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান শূন্য রানে। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠলেও শাহিন শাহ আফ্রিদি কটরেলের বলে বিদায় নেন রানের খাতা খোলার আগেই। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে তারা হারিয়ে বসে চার উইকেট।

পরে মুলতান সুলতানসের বোলিং তাণ্ডবের সামনে আর দাঁড়াতেই পারেনি লাহোর কালান্দারসের ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ফলে ৮৪ রানের বড় জয় তুলে ফাইনালে পৌঁছে যায় মুলতান সুলতানস। টানা তৃতীয়বার পিএসএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল দলটি। তবে ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে লাহোর। এলিমিনেটরে জেতা দলের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে তারা।