বেনাপোল সংবাদদাতা : ১৮ দলের টানা অবরোধ শেষে বেনাপোল বন্দরে প্রচুর ট্রাক ঢুকে পড়ায় পণ্য খালাস করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় অধিক ট্রাক ঢোকার কারণে বন্দরে পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে।

পণ্যজট কমানোর জন্য শুক্র ও শনিবার বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, সোনালী ও জনতা ব্যাংক খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার পণ্য খালাস সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের কাস্টমস বিভাগকেও অবহিত করেছে বেনাপোল কাস্টমস। এ সময় খাদ্যপণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকবে।

সারাদেশে টানা অবরোধের পর একসঙ্গে ২০০ পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকে পড়লে বন্দরের কোথাও তিল পরিমাণ জায়গা নেই। প্রকৃতপক্ষে ৩৮ হাজার টন পণ্য ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে সেখানে এক লাখ টন পণ্য রয়েছে।

বোনপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আশা করেছিল শনিবার বিকাল পর্যান্ত আমদানি পণ্যের অর্ধেক খালাস করা যাবে। কিন্তু ফের শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮ দলের অবরোধ ঘোষণায় সে আশায় গুড়ে বালি পড়েছে।

বন্দর সূত্র জানায়, টানা অবরোধের কারণে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দরের ৩৬টি গুদাম, পাঁটটি ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ও তিনটি টার্মিনালের কোথাও জায়গা নেই। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পণ্য খালাস না হওয়া পর্যান্ত আর কোনো পণ্য আমদানি হবে না।

এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দর পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার জানান, বর্তমানে এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি পরিমাণ পণ্য রয়েছে। আর কোনো পন্য আমদানি হলে তা রাখার জায়গা নেই। খাদ্যপণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকবে। আমরা আশা করছি শুক্রবার রাত পর্যন্ত লোড করা ট্রাকগুলো বন্দর থেকে চলে যাবে। কিন্তু শনিবার থেকে আবার ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেওয়ায় সবাই শঙ্কিত।

যশোরের চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, অবরোধের কারণে পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। এ কারণে সংকটে পড়েছে দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এতে ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এআর/এএস/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৩)