দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সুগন্ধা মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অবৈধ মানি চেঞ্জিং ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ অনুসন্ধানে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সম্প্রতি কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন থেকে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্তের মহাপরিচালককে অভিযোগটি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র এসব তথ্য দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুগন্ধার বিরুদ্ধে অবৈধ মানি চেঞ্জিং ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ দুদকে আসলে কমিশন তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিদর্শনে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অবৈধ মানি চেঞ্জিংয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

রাজধানীর ৬৭ দিলকুশায় অবস্থিত সুগন্ধা মানি এক্সচেঞ্জের ওপর গত ১১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ব্যাংকের যুগ্ম-পরিচালক মো. মনছুর আলীর নেতৃত্বে ওই পরিদর্শ চালানো হয়। পরিদর্শনে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থগিতাদেশ থাকা সত্বেও মানি চেঞ্জিং ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্থগিতাদেশকৃত সুগন্ধা মানি এক্সচেঞ্জের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে এ বি এম মামুনার রশীদ (টিপু) অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করছেন। পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট ব্যতিরেকে তিনি মার্কিন ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রি করেছেন। এছাড়া তিনি যে কোন মুদ্রার যে কোন পরিমাণ সরবরাহ করতে পারবেন বলেও গ্রাহকদের জানান। পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক যাদের অনুকূলে লাইসেন্স ইস্যু করেছিল তাদের কাউকে অফিসে দেখা যায়নি।

ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের কাছে টিপু জানান, ২০০৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানের এক পার্টনার মো. সেলিম মিয়াকে র‌্যাব ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সুগন্ধা মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত রয়েছে।

টিপু আরও জানান, সুগন্ধার এক পার্টনার এম এ জলিলের অংশ কেনার জন্য তিনি ২৮ ফেব্রুয়ারি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। উচ্চ আদালতের রায় সুগন্ধার পক্ষে হবে বিবেচনায় অংশীদারিত্ব ক্রয়ে তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমএআর/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৩)