দিরিপোর্ট২৪, প্রতিবেদক : বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে দেওয়া প্রস্তাবের সমালোচনা করে সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, খালেদা জিয়া পুরুষদের মহিলা আসনে বসিয়ে নির্বাচন করতে চান। যা অসাংবিধানিক।

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বুধবার এই কথা বলেন।

বিরোধী দলের নেতার সমালোচনা করে সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) পুরুষদের মহিলা আসনে বসিয়ে নির্বাচন করতে চান। তারা (বিএনপি) বলছে, রাষ্ট্রপতি ও মহিলা সংসদ সদস্যরা যেভাবে নির্বাচিত হয়, নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টারাও ঠিক সেভাবে নির্বাচিত হবে। কিন্তু এই নিয়ম সংবিধানের কোথায় লেখা আছে? তাদের কথা মানতে হলে আবারো সংবিধান সংশোধন করতে হবে।’

শেখ সেলিম বলেন, ‘অসাংবিধানিকভাবে যেন আর কেউ ক্ষমতায় না আসে সেজন্যই সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন। এতে বিরোধীদল বিএনপি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দূর্বল মনে করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা দূর্বল নন।’

বিএনপির ভাগ্য ন্যাপের মতো হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৬৯-এর নির্বাচন বর্জন করার পর ন্যাপের অস্তিত্ব আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আপনাদের (বিএনপি) ভাগ্যও মাওলানা ভাসানীর (ন্যাপের) মতো হবে। কারণ আপনারা নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ করবে না। জনগণ নির্বাচন চায়।

অধিবেশনে তার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বক্তব্য রাখেন। বিএনপির এই নেতার বক্তব্য সঠিক নয় উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করেনি, সংসদ সংবিধান সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছে। শহীদ জিয়ার স্বৈরাচারী শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছিল।’

এই সময়ে (সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে) শেখ সেলিম এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপি সাংসদরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন।

সংবিধান সংশোধনী প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, আমরা যখন সংবিধান সংশোধনী আনি তখন বিএনপি তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার প্রস্তাব দেয়নি। তাই আমরা সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যায়।

(দিরিপোর্ট২৪/রিজভী/এমডি/অক্টোবর ২৩, ২০১৩)