মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : ১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ মুক্ত দিবস। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের এই দিন জেলা শহরের হরগঙ্গা কলেজে হানাদার পাকবাহিনীর প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাটিতে উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলার পতাকা। মুক্ত হয়েছিলো পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি বিধৌত মুন্সীগঞ্জ।

মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস দখলদার পাক হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্নস্থানে চালায় অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও লুটপাট। চলে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ। জেলার গজারিয়া উপজলোয় ১৯৭১ সালের ৯ মে ঘটে ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা। রাজাকারদের সহযোগিতায় এক রাতে গজারিয়ার কয়েকটি গ্রামের ৩৬০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে হানাদার পাকবাহিনী। স্বাধীনতার এতবছর পরেও স্বজনদের কথা মনে করে কেঁদে ওঠেন গজারিয়ার মানুষ।

হানাদার পাকবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন প্রতিহত করতে ও দেশ মাতাকে মুক্ত করতে ভারত ও দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ নেন মুক্তিযোদ্ধারা। জেলার কয়েকটিস্থানে সম্মুখযুদ্ধে হানাদার বাহিনী পরাজিত হয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে।

চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে ১১ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুন্সীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দিক থেকে হানাদার পাকবাহিনীর সব চাইতে বড় ঘাঁটি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রাবাসের দিকে এগুতে থাকে। ততক্ষণে বর্বর পাকিস্তানি হায়েনারা বুঝতে পারে তাদের সময় শেষ। দুপুরের আগেই ক্যাম্পের সব দিক ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। কোন কুলকিনারা খুঁজে না পেয়ে হানাদার পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। শক্রমুক্ত হয় পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ইছামতি বিধৌত মুন্সীগঞ্জ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএএম/জেএম/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)