দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে সরকারের যেকোনো বাধা উপেক্ষা করে জনতার কাতারে যোগ দেবেন বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীসহ দেশবাসী গণতন্ত্র রক্ষায় ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে যোগ দেবেন। আমরা আমাদের এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে শুরু করতে চাই। এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিএনপি ও জোটের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া যে কোনো মূল্যে অংশ নেবেন। তিনি যথাসময়ে নয়াপল্টনে উপস্থিত হবেন।’

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল ১০টার দিকে তাঁর গুলশানের ভাড়াবাড়ি ফিরোজা’ থেকে নয়াপল্টনের দিকে যাত্রা করবেন। যদি কোনো কারণে তাঁকে সরকার পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়, সড়কে কোনো ব্যারিকেড হয়, তাহলে তিনি পায়ে হেঁটেই নয়াপল্টনের দিকে রওনা হবেন। এরপরও যদি তাঁকে অন্য কোনোভাবে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে যেখানে বাধা সেখানেই অবস্থান ঘোষণা করবেন বিরোধীদলীয় নেত্রী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ এক সদস্য প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন সরকার বিরোধীদলীয় নেত্রীকে বাধা দেবে। দেশে কি যুদ্ধ শুরু হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে, সমুন্নত রাখতে শক্তিশালী বিরোধী দল একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা বুঝতে পারছে না। অথবা বুঝতে পারলেও তারা এতে বিশ্বাসী নয়। সে কারণেই আমাদের সব শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে তারা সব সময় বাধা সৃষ্টি করে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ করে অতীতে আইয়ুব খান, টিক্কা খান, শেখ মুজিব ও এরশাদ রক্ষা পাননি। শেখ হাসিনাও শেষ রক্ষা করতে পারবেন না।’

তিনি জানান, ১৮ দলীয় জোটনেত্রী অবশ্যই যথাসময়ে কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

এ বিষয়ে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমাদের নেত্রীকে পথে বা বাসায় জিম্মি রেখে রাজনীতির নামে খেলতে পারি না। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া শুধু যোগ দেবেন তাই নয়, তিনি কর্মসূচি থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় দিকনির্দেশনাও দেবেন।’

আলাল বলেন, খালেদা জিয়াকে যেখানে বাধা দেওয়া হবে সেখান থেকেই সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আলাল বলেন, ঢাকা সিটিতে যুবদলকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সবাইকে একযোগে মার্চ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে ও পুলিশ গুলি চালাতে সাহস না পায়।’

যুবনেতা আলাল বলেন, আমাদের সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি, সরকার আমাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক আচরণ করবে।’

(দ্য রিপোর্ট/টিএস-এমএইচ/এনডিএস/এইচএসএম/নূরুল/ডিসেম্বর ২৮,২০১৩)