নিজাম উদ্দিন দিপু দ্য রিপোর্ট : ইংরেজি বর্ষ (থার্টি ফার্স্ট নাইট) বরণ উপলক্ষে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই নিরাপত্তার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাত ৮টা পরে নগরবাসীকে তাদের বাসা-বাড়িতে ফিরে যায় তার যন্য অনুরোধ জানান।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে জনগণকে পুলিশের কাছে তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে অনুরোধ করেন। তা ছাড়া রাত ৮টা পরে হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে রাজধানীর অভিজাত বিশেষ কয়েকটি এলাকার ২০টি স্থানকে স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করছে ডিএমপি। উচ্ছৃঙ্খলতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নগরীর ৮টি ক্রাইম ডিভিশনকে ৮টি সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে এই সকল এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে পুলিশ।

এ ছাড়া নগরীর ৯০টি পয়েন্টকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করে ওইসব এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হেয়েছে। ওইসব এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের অতিরিক্ত নজরদারির পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড, অশ্বারোহী বাহিনী, কমান্ড ভেহিকেল (রায়ট কন্ট্রোল কার), জল কামান, অগ্নিনির্বাপক গাড়ি (ফায়ার টেন্ডার) ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে ডিএমপি সুত্রে জানা যায়।

গুলশানকে দু’ভাগে করে ৬ জন এডিসির নেতৃত্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ধানমন্ডির বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখ, শাহবাগ ক্রসিং, দোয়েল চত্বর, চানখারপুল, জগন্নাথ হল ক্রসিং, টিএসসি, পলাশী, নীলক্ষেত ক্রসিং, ঢাকা কলেজ গেট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, চারুকলা, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, আণবিক শক্তি কমিশন, দোয়েল চত্বর ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে থাকচ্ছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। এ ছাড়াও কন্ট্রোলরুমে যেকোন পরিস্থিতির জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এই এলাকায় গুলোতে মোট ১০৭ প্লাটুন পুলিশ নিরাপত্যার কাজে নিয়জিত আছে। এর মধ্যে এসএএফ ২৪ প্লাটুন, পিওএম ৬৪ প্লাটুন ও নারী পুলিশ ১৯ প্লাটুন থাকবে। যার মধ্যে ওয়ারীতে ৫ প্লাটুন, লালবাগে ৪ প্লাটুন, রমনায় ১৫ প্লাটুন য়ারমধ্যে ৪ প্লাটুন মহিলা পুলিশ আছে, মতিঝিলে ৮ প্লাটুন, মিরপুরে ৫ প্লাটুন, তেজগঁওয়ে ৬ প্লাটুন (১ প্লাটুন মহিলা পুলিশ), গুলশানে ১৫ প্লাটুন (৫ প্লাটুন মহিলা পুলিশ), উত্তরায় ৫ প্লাটুন (২ প্লাটুন মহিলা পুলিশ), পুলিশ কন্ট্রলরুমে স্ট্যান্ডবাই থাকবে ১৫ প্লাটুন (৭ প্লাটুন মহিলা পুলিশ) মোতায়ন করা করা হয়েছে।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের মত এবার ইংরেজি বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করার জন্য জনসাধারনের চলাচল উম্মুক্ত করা যাবে না। বেশি রাত পর্যন্ত জনগণের চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।

এদিকে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে ৪ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয়। বিশেষ পর্যবেক্ষণে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কূটনৈতিক পাড়া। মাঠে থাকছে ভিডিও ক্যামেরাসহ গোয়েন্দা পুলিশ। থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের জন্য ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাতে নগরীতে থানা ও নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি আছে টহল পুলিশ, ব্যাপক সংখ্যক চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/এনইউডি/এসবি/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)