thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘শিগগির একাদশ নির্বাচনের তাগিদ’

২০১৪ জানুয়ারি ০৪ ১৮:০৩:৪৮
‘শিগগির একাদশ নির্বাচনের তাগিদ’

দ্য ‍রিপোর্ট প্রতিবেদক : অর্থনীতি সমিতির এক সেমিনারে দেশ ও অর্থনীতি রক্ষায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা শিগগির একাদশ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন।

রাজধানীর হোটেল লেকশোরে শনিবার ‘সহিংস রাজনীতি, সংকটে দেশ : ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক এই সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, এভাবে সহিংসতা চলতে থাকলে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থনীতি রক্ষায় দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে সমঝোতা ও দ্রুত একাদশ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন রবিবার। ইতোমধ্যে এই নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ও বিরোধী দলের হরতাল অবরোধে দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জমান আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী, এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, এভাবে সহিংসতা চলতে থাকলে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন আমরা বুঝতে না পারলেও আগামী এক দুই বছর পর এটি বুঝতে পারবো। বিনিয়োগ কমে যাবে, কাঙ্ক্ষিত মাত্রার প্রবৃদ্ধি হবে না। কিন্তু এটি অর্জনের সক্ষমতা আমাদের ছিল।

তিনি বলেন, সমঝোতা বা আপোস হতে হবে কয়েকটি শর্তের মাধ্যমে। তার মধ্যে থাকবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন, জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি দমন, সহিংসতা বন্ধ- যারা এসব শর্ত মেনে সমঝোতা ও সংলাপে আসতে চায় কেবল তাদের সঙ্গেই সমঝোতা বা সংলাপ হতে পারে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন রবিবার। দ্রুত একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে একাদশ নির্বাচনে যাওয়ার আগে এ সব বিষয়ে আলোচনা হতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, হাসিনা-খালেদা সংলাপ কখনোই ফলপ্রসূ হবে না। কারণ দুজনের লক্ষ্য ভিন্ন। ১৯৭১ সালের মার্চেও ইয়াহিয়া-বঙ্গবন্ধু সংলাপ একই কারণে ফলপ্রসূ হয়নি। সেখানেও দুজনের লক্ষ্য ছিল ভিন্ন।

এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সহিংস আন্দোলন ও হরতাল-অবরোধে মানুষের পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছে। আগে আমরা বলতাম দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তা এর চেয়ে খারাপ। দুই কোটি ক্ষুদ্র পুঁজির মানুষ কষ্টে আছে। দু’মাস আগেও আমরা ভালো ছিলাম। সম্ভাবনার দেশটিকে সহিংস রাজনীতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একে আজাদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংসতা তৈরি হয়নি। সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান বিবেচ্য স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস। এর বাইরে গিয়ে কারো সঙ্গে আপোস মীমাংসা হতে পারে না। সংলাপ হতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, এটি কি বাঁচার আন্দোলন না কি গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন। দেশের প্রতিটি মানুষ ভীত, দিশেহারা। মানুষ সম্ভবত পরিত্রাণ চাইছে।

তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য বাড়ার কারণে মৌলবাদ জেগে উঠেছে। এ কারণে আজ রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি রাষ্ট্র, মূল সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার, মূল অর্থনীতির ভেতরে আরেকটি মৌলবাদী অর্থনীতি দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি দুর্বৃত্তায়িত হয়েছে। রাষ্ট্র অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে। এ সবের কারণ নির্মূল ও করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসবি/আরকে/জানুয়ারি ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর