thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি 25, ১০ মাঘ ১৪৩১,  ২৪ রজব 1446

যশোরে সংখ্যালঘু বাড়িতে ভাঙচুর আগুন লুট

২০১৪ জানুয়ারি ০৬ ১৮:১১:৩৫
যশোরে সংখ্যালঘু বাড়িতে ভাঙচুর আগুন লুট

যশোর সংবাদদাতা : যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১২ বাড়িতে আগুন ও ১৩০টি বাড়ি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাতে এ সহিংস হামলা চালানো হয়। এ সময় অধিকাংশ পরিবারের লোকজন ভয়ে জীবন বাঁচাতে ভৈরব নদ পার হয়ে দিয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে অবস্থান নেয়।

জামায়াত-শিবির এ হামলা চালিয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায় বলেছেন, তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হুইপ শেখ আব্দুল ওহাবের প্ররোচনায় জামায়াত-বিএনপি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলায় দেবব্রত সরকার ও মুকুল সরকার নামে দুই জন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তারা ৫ জানুয়ারি সকালে চাঁপাতলা আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এ সময় ওই এলাকার আবদুর রহিমের নেতৃত্বে কিছু লোক বাধা দেয়। তারা মালোপাড়ার বিশ্বনাথ সরকার ও শ্যামল সরকারকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সকালের ওই ঘটনার জের ধরে রাতে জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক লোক চাঁপাতলা মালোপাড়ায় অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা ১০-১৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে তারা শতাধিক বাড়ি ও একটি দোকান লুট ও ভাঙচুর করে। চলে যাওয়ার সময় ১০-১২টি বাড়িতে আগুন দেয়।

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। সোমবার সকালে যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং যশোর-৪ আসনের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনাস্থল থেকে রণজিত রায় জানান, যশোর-৪ আসনে পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের প্ররোচনায় জামায়াত-বিএনপির লোকজন এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শেখ আব্দুল ওহাবের ০১৭১২৭০৮৭৭৫ নম্বরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট এবং কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের ২শ’ কম্বল দেওয়া হয়েছে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র এএসপি (সদর) রেশমা শারমিন জানান, জামায়াত-শিবিরের লোকজন এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের লোকজন যখন ভোট গণনায় ব্যস্ত ছিল, ঠিক সে সময়ই তারা এ হামলার ঘটনা ঘটায়।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এপি/আরকে/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর