thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘দর্শক বেশি তাই চ্যানেলও বাড়ছে’

২০১৪ জানুয়ারি ০৬ ১৮:০৩:০১
‘দর্শক বেশি তাই চ্যানেলও বাড়ছে’

ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী লামিয়া সিদ্দিকী মিমো। ২০০৯ সালে সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে মিডিয়ায় আসেন তিনি। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানালেন তার ব্যস্ততার কথা।

দ্য রিপোর্ট : কি করছেন?

মিমো : অসুস্থ। জ্বর এসেছে। তাই বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি। এখন কোনো নাটকে অভিনয় করছি না। ১১ তারিখ থেকে আবার কাজ শুরু হবে। গত মাসে হরতাল-অবরোধের কারণে ১৮ দিন কাজ হয়নি। শুটিং বাতিল হয়েছিল।

দ্য রিপোর্ট : নতুন কোনো কি কাজ করছেন?

মিমো : হ্যাঁ। আরটিভির জন্য একটি বড় ধারাবাহিকে কাজ করব। গত ঈদে জয় (শাহরিয়ার নাজিম জয়) ভাইয়ের পরিচালনায় আমি, ইশানা ও জয় ভাই একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। ‘ঘরওয়ালী পরওয়ালী’ শিরোনামের ওই নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। তাই আরটিভি একই নামে ধারাবাহিক বানানোর প্রস্তাব দেয়। জয় ভাই ডিসেম্বরে এই নাটকের শুটিং করে। ‘ঘরওয়ালী পরওয়ালী’ নাটকটি অনেক মজার। জানুয়ারি মাসেই হয়ত এর প্রচার শুরু হবে।

দ্য রিপোর্ট : অন্যান্য নাটকের কি খবর?

মিমো : এটিএন বাংলায় চান্দা মাহজাবিন ও তাহের শিপনের ‘ট্রাম্পকার্ড’, এস টিভিতে জিয়া রায়হানের ‘ঘুর্ণিপাক’, এশিয়ান টিভিতে আলম আশরাফের ‘হিডেন ফোল্ডারসহ আরও কয়েকটি চলছে। ঈদের সময় বেশ কয়েকটি নাটক করেছিলাম। তার মধ্যে ৪-৫টি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হবে। আর এ মাসে আরও দুইটি নাটকের শুটিং আছে। একটিতে আমি আর নিলয় অভিনয় করব।

দ্য রিপোর্ট : অনেক নাটকের প্রস্তাব পান, সামলে নেন কিভাবে?

মিমো : আমি তো এমনিতেই খুব কম নাটক করি। মানসম্পন্ন কাজের পাশাপাশি পরিচালক, সহশিল্পী, ইউনিট যদি ভাল লাগে, তবে করি। আর এভাবেই কম কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে নিয়ে অনার্স শেষ করলাম।

দ্য রিপোর্ট : দেশে চ্যানেল অনেক বেড়েছে, আপনার মতামত কি?

মিমো : আমাদের দেশ ছোট কিন্তু চোখ তো অনেক। যেহেতু দর্শক বেশি তাই চ্যানেলও বাড়ছে। দর্শকের চাহিদা যদি না থাকত তাহলে কি এতো চ্যানেল হতো? এটা ইতিবাচক। চ্যানেল বাড়লে প্রতিযোগিতাও বাড়বে। কাজের মানও ভালো হবে।

দ্য রিপোর্ট : দেশের অনেক নাটকে ভারতীয় ধারাবাহিকের প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

মিমো : এটা সত্যি। অনেক নাটকের শুটিংয়ে গেলে বলে, গ্ল্যামারাস শাড়ি, গহনা পড়তে হবে। ক্যামেরা তিনবার জুম চার্জ করবে। এটা যদি ভালো ও অভিজ্ঞ পরিচালকের হাতে পড়ে, তবে তিনি তার সৃষ্টিশীলতা দিয়ে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু এ ধরনের স্টাইল খারাপ পরিচালকের হাতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। হচপচ লেগে যায়। ভারতীয়রাও তো হলিউড থেকে নকল করে। কিন্তু ওরা ওদের মতো উপস্থাপন করে। আমার মতে, আমরা যদি ভালো পরিচালক দিয়ে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারি, তবে কেউ বলবে না নকল করেছি। আর শিল্পীদেরও এ ব্যাপারে যথেষ্ট ভূমিকা আছে।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্রের কি খবর?

মিমো : পাঁচটি চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেয়েছি। নানা ব্যস্ততা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বসা হয়নি। এরমধ্যে দু-তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পারি। যদি সবকিছু ব্যাটে বলে তাহলেই করব।

দ্য রিপোর্ট : এখন তো চলচ্চিত্রে অনেক নতুন মুখ আসছে।

মিমো : হ্যাঁ। ২০০৯ সালে আমরা যখন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আসি, তখনও অবস্থা এতো ভালো ছিল না। প্রযোজকরা নতুনদের নিয়ে কাজ করত না। ইনভেস্ট করত না। এখন ডিজিটাল চলচ্চিত্রের যুগ। এখন অনেক সহজেই প্রযোজকরা নতুনদের নিচ্ছে। যার ফলে অনেক নতুন মুখ আসছে।

দ্য রিপোর্ট : আপনিও তো চলচ্চিত্রের জন্য এসেছিলেন, ব্যস্ত হয়ে গেলেন নাটকে। এটাকে কিভাবে দেখছেন?

মিমো : দেখুন, আমি অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। বড়পর্দা বা ছোটপর্দা আমার কাছে দুটোই সমান। আমি পর্দাকে নয়, অভিনয়কে প্রাধান্য দেই। তাই যেখানেই কাজ করি না কেন, অভিনয় করছি, এটাই বড় বিষয়।

দ্য রিপোর্ট : ২০১৪ সাল নিয়ে কি ভেবেছেন?

মিমো : এমবিএ করব। আর অভিনয় তো করবই। পাশাপাশি কোনো চাকরি করব। এই তো।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এমসি/সা/জানুয়ারি ০৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর