thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি 25, ১১ মাঘ ১৪৩১,  ২৪ রজব 1446

যশোরের অভয়নগরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা

মালোপাড়ায় পুলিশ ক্যাম্প, মামলায় আসামি ২৫০

২০১৪ জানুয়ারি ০৭ ১৯:৪১:১৪
মালোপাড়ায় পুলিশ ক্যাম্প, মামলায় আসামি ২৫০

যশোর সংবাদদাতা : সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর যশোরের অভয়নগরের চাপাতলা মালোপাড়ায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। ৩৯জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে ।

এরপর থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন। আর একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এ ঘটনায় অভয়নগর থানার এসআই মহসিন হাওলাদার ৩৯জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনের নামে মামলা করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান অভয়নগর থানার ওসি ইমদাদ হোসেন।

সোমবার রাতে সহিংসতায় জড়িতদের আটক করতে প্রেমবাগ ইউনিয়নে অভিযান চালায় পুলিশ। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পুলিশ অভিযানের নামে নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করেছে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেশমা শারমীন জানান, সহিংসতায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তায় মালোপাড়ায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০ জনের অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হয়েছে। যতদিন ওই এলাকার পরিবেশ স্থিতিশীল না হচ্ছে ততদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এ ছাড়া তাদের পাশে দাঁড়াতে যশোর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যশোরে কর্মরত পুলিশ সুপার থেকে কন্সটেবল পর্যন্ত সবার একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রবিবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সন্ধ্যায় মালোপাড়ার ১২ বাড়িতে আগুন ও ১৩০টি বাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অধিকাংশ পরিবারের লোকজন ভৈরব নদ পার হয়ে দিয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে অবস্থান নেয়। জামায়াত-শিবির এ হামলা চালিয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায় অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হুইপ শেখ আব্দুল ওহাবের প্ররোচনায় জামায়াত-বিএনপি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শেখ আব্দুল ওহাবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এপি/জানুয়ারি ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর