বিদেশি কর্মীর মেয়াদ ৮ বছর করছে সৌদি সরকার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সৌদি আরবে কর্মরত বিদেশিদের জন্য দেশটিতে অবস্থানের মেয়াদ সর্বোচ্চ আট বছর করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নিজ নাগরিকদের কাজের সুযোগ বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘নিতাকাত’ আইনটির বর্ধিতকরণের প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। নতুন এ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, নিজ নাগরিকদের আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও উচ্চ বেতন নিশ্চিতে এবং বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা কমাতে এ আইনটি চালু করা হোক।

নতুন আইন অনুযায়ী সৌদিতে বসবাসরত স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ একজন বিদেশি কর্মী দু’জন কর্মীর সমান বিবেচিত হবে। সে ও তার স্ত্রী মিলে পাবে ১.৫ পয়েন্ট। আর প্রত্যেক সন্তানের জন্য রয়েছে ০.২৫ পয়েন্ট।

এ আইনে একজন বিদেশি কর্মী সর্বোচ্চ তিন পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। তবে ফিলিস্তিনের নাগরিকদের মতো যারা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারবে না তাদের জন্য এ আইন প্রযোজ্য হবে না।

একজন বিদেশি কর্মী সর্বোচ্চ ৬ হাজার সৌদি রিয়াল (১,৬০০ ইউএস ডলার) বেতন পাবেন। ১.৫ পয়েন্ট অর্জনকারীরা এর চেয়ে বেশিও পেতে পারেন। তবে যাদের সনদপত্র সৌদি সরকারের প্রত্যয়ন করা তারা এ বেতন কাঠামোর আওতাভুক্ত নন।

চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী যে বিদেশি কর্মীর ৪ বছর পূর্ণ হবে সে ১.৫ পয়েন্ট অর্জন করবে। পঞ্চম বছর থেকে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পাওয়ার পর নিতাকাত আইনে তার হিসাব করা হবে।

ছয় বছর শেষে একজন কর্মী অর্জন করবে ২ পয়েন্ট। সাত বছর শেষে ২.৫ এবং আট বছরের শুরুতে সে ৩ পয়েন্ট অর্জন করবে।

নতুন আইনটির প্রস্তাবনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশটিতে দক্ষ কর্মীর চেয়ে অদক্ষরা বেশি দিন অবস্থান করে।

তবে এ আইনটির বিরোধিতা করেছে দেশটিতে অবস্থানরত অনেক বিদেশি কর্মী। তাদের অভিমত, এ আইনের ফলে অনেক বিদেশি কর্মীই দেশটিতে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশটির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

প্রসঙ্গত, সৌদিতে প্রচুর বাংলাদেশী কর্মী রয়েছে। নতুন এ আইনটি কার্যকর হলে তারা বেশ সমস্যার সম্মুখীন হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এসকে/জানুয়ারি ০৭, ২০১৪)